অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রয়েছে এতিম শিশুদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
আজ ২৪ মার্চ দিনাজপুর বোচাগঞ্জ
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, পবিত্র রমজান মাস ধৈর্য্য ও সংযমের মাস আমাদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে চলতে হবে। বাংলাদেশ ইসলামিক দেশ। এখানে অধিকাংশ মানুষ মুসলমান। আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ নাই। আমরা অন্য ধর্মের মানুষদের প্রতি সম্মান দিয়ে থাকি। এটা ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট। বাংলাদেশের মুসলমানরা আধুনিকতার পরিচয় দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের মুসলমানরা পৃথিবীতে প্রশংসিত। আমরা আতিথেয়তায় অন্যদের সম্মান দিয়ে থাকি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। একসময় বিভিন্ন কারণে ধর্মকে ব্যবহার করে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সাচ্চা মুসলমান ছিলেন। অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি তাঁর বিশ্বাস ছিল এবং বঙ্গবন্ধু ধার্মিক হওয়ার কারণে অন্য ধর্মের মানুষেরও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা ছিল। একজন মানুষের যদি অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও বিশ্বাস না থাকে তাহলে তার প্রতি অন্য ধর্মের মানুষের শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও বিশ্বাস থাকেনা। বঙ্গবন্ধুর এসব গুণাবলী ছিল বলেই আমরা তাঁর নেতৃত্বে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি এবং বিজয় অর্জন করেছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ এগিয়ে যাওয়াকে ক্ষতি করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পবিত্র রমজান মাসে আমরা নিজেদেরকে ধৈর্যের সাথে তৈরি করব। আল্লাহর কাছে দোয়া চাইব- আধুনিক উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ক্ষেত্রে যা যা করণীয় সেটি করব। মানুষের প্রতি ভালবাসা তৈরি করব। মন থেকে যা ভাল চাই সেটি যেন আল্লাহ কবুল করে নেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জে আব্দুর রৌফ চৌধুরী অডিটরিয়ামে এতিম শিশুদের সাথে ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পাল, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী, সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো.আসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার মাহফিল শুরুতে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এর আগে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলার ১৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঝে সরকারিভাবে প্রাপ্ত ল্যাপটপ বিতরণ করেন এবং সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী সেখানে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর অমানবিক চিন্তাভাবনা নিয়ে এদেশ পরিচালনা করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে কঠিন করে তোলা হয়েছিল। বাংলাদেশের শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ ভাবেনি। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে শিক্ষার ভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করেছিল। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা শিক্ষারভিত্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করেছে। আমরা যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি।
এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগরই হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকবৃন্দ। তাই প্রাথমিক শিক্ষকদের উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা আফছানা কাওছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুহাঃ মুনিরুল ইসলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দলীয় দৃষ্টি ভঙ্গিতে কাজ করি নাই বলেই, দেশে সমন্বিত উন্নয়ন হয়েছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জননী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। দিনবদলের রূপকার প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেয়া দিনবদলের সনদের কারণে সব কিছুই বদলে গেছে। এখন বাংলাদেশের কোন মানুষ না খেয়ে থাকে না। কোন মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যায়না। আগামী কিছুদিনের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে এদেশের সর্বস্তের ডায়াবেটিক রোগীদের ফ্রি ইনসুলিন প্রদান করা হবে।