প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বন্দর যদি সচল না থাকে, তাহলে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিভিন্ন রকম অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
এ বন্দরের সংরক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা আমাদের জরুরি।চট্রগ্রাম বন্দরে কারণে চট্টগ্রামের একটা বড় বৈশিষ্ট্য আছে যেটা বাংলাদেশের অন্য কোন শহরে নেই।
স্মরণ সভায় উপস্থিত বক্তব্যর প্রতিউত্তরে তিনি বলেন, আপনার বলছেন চট্টগ্রামে আর্থিক সহায়তা দরকার, হাসপাতালের আর্থিক সহায়তা দরকার। কিন্তু চট্টগ্রামের নিজের পায়ে দাঁড়াবার ক্ষমতা কতটুকু? যদি চট্টগ্রাম বন্দর নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে সারাদেশে তার একটা প্রভাব পড়ে। সেজন্য আমাদের প্রথম চেষ্টা করতে হবে- নিজের পায়ে দাঁড়ানো।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম ডা. এ এস এম ফজলুল করিম নাগরিক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,
তিনি আরও বলেন,
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জন্য ডা. করিম এ এস এম ফজলুল করিম অসামান্য অবদান রেখে গেছেন- যা অন্য কেউ শোধ করতে পারবে না। এ হাসপাতালের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছেন, তাদেরও দায় আছে বলে মনে করি। আমি আরও মনে করি স্থানীয় উদ্যোগকে বাদ দিয়ে হঠাৎ করে কেন্দ্রের কাছে গিয়ে কিছু করাটা ঠিক নয়। নিজের ক্ষমতা যদি না রাখি তবে অন্যের মুখাপেক্ষি হয়ে বড় হতে পারি না।
ড. মসিউর রহমান বলেন, মা ও শিশু হাসপাতাল সম্পর্কে ডা. করিমের সুদুর চিন্তাভাবনা ছিল। যাতে এটা সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনি কাজ করেছেন। উনার নিজের বাড়িতে তেমন জায়গা সম্পত্তি ছিলো না। যা ছিল, তা স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার জন্য দান করে গেছেন। দান খয়রাত করতে তিনি কখনও কৃপণতা করেননি। মানুষের কল্যাণের জন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কাজ করেছেন। উনার মত মানুষ বর্তমান সমাজে পাওয়া বিরল।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এম এ তাহের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি।
প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমরা যখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়তাম, তখন স্যারকে খুবই ভয় পেতাম। সকলে যে টাইগার করিম স্যার বলতেন, তা উনার চাল-চলনে ফুটে উঠতো। উনি যদি আমাদের সকাল ৯টায় সময় দিতেন। ৯টা মানে ৯টা। এক মিনিট এদিক ওদিক করার সুযোগ নেই। এমনকি যারা সময়মত আসতেন না, তাদের উপর অভিমান করতেন। উনাকে অনুসরণ না করে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। বর্তমানে ৯টার ডিউটি কয়টায় করে, সেটা সবারই জানা। প্রফেসর কখন আসে, আর ছাত্ররা কখন যায়, তার আগামাথা ঠিক নেই।
তিনি আরও বলেন,একবার স্যারের ক্লাস থেকে আমরা বের হচ্ছিলাম। স্যার বলে উঠলেন কই যাও আমি বলে উঠি- স্যার, ওটিতে যাবো। তখন তিনি বললেন, বাড়ি কই কুমিল্লা? তখন বলে উঠলাম- জ্বি স্যার। এরপর স্যার বললেন, উচ্চারণ শুদ্ধ করো। তারপর থেকে আর ভুল বলিনি।’
স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. কনক কান্তি , প্রয়াত এএসএম ফজলুল করিমের সন্তান ইঞ্জিনিয়ার আহমদ ইয়াসিন করিম, আহমদ জিয়া করিম, কন্যা সুমাইয়া করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর এম এ ফয়েজ, মা ও শিশু হাসপাতালের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি আঞ্জুমান আরা ইসলাম,
ড. মসিউর রহমান বলেন, মা ও শিশু হাসপাতাল সম্পর্কে ডা. করিমের সুদুর চিন্তাভাবনা ছিল। যাতে এটা সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনি কাজ করেছেন। উনার নিজের বাড়িতে তেমন জায়গা সম্পত্তি ছিলো না। যা ছিল, তা স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার জন্য দান করে গেছেন। দান খয়রাত করতে তিনি কখনও কৃপণতা করেননি। মানুষের কল্যাণের জন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কাজ করেছেন। উনার মত মানুষ বর্তমান সমাজে পাওয়া বিরল।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এম এ তাহের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি।
প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমরা যখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়তাম, তখন স্যারকে খুবই ভয় পেতাম। সকলে যে টাইগার করিম স্যার বলতেন, তা উনার চাল-চলনে ফুটে উঠতো। উনি যদি আমাদের সকাল ৯টায় সময় দিতেন। ৯টা মানে ৯টা। এক মিনিট এদিক ওদিক করার সুযোগ নেই। এমনকি যারা সময়মত আসতেন না, তাদের উপর অভিমান করতেন। উনাকে অনুসরণ না করে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। বর্তমানে ৯টার ডিউটি কয়টায় করে, সেটা সবারই জানা। প্রফেসর কখন আসে, আর ছাত্ররা কখন যায়, তার আগামাথা ঠিক নেই।
তিনি আরও বলেন,একবার স্যারের ক্লাস থেকে আমরা বের হচ্ছিলাম। স্যার বলে উঠলেন কই যাও আমি বলে উঠি- স্যার, ওটিতে যাবো। তখন তিনি বললেন, বাড়ি কই কুমিল্লা? তখন বলে উঠলাম- জ্বি স্যার। এরপর স্যার বললেন, উচ্চারণ শুদ্ধ করো। তারপর থেকে আর ভুল বলিনি।’
স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. কনক কান্তি , প্রয়াত এএসএম ফজলুল করিমের সন্তান ইঞ্জিনিয়ার আহমদ ইয়াসিন করিম, আহমদ জিয়া করিম, কন্যা সুমাইয়া করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর এম এ ফয়েজ, মা ও শিশু হাসপাতালের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি আঞ্জুমান আরা ইসলাম,
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ইমরান বিন ইউনুস,
প্রফেসর মঞ্জুরুল ইসলাম, লায়ন্সের সাবেক গভর্নর লায়ন রফিক আহমেদ, প্রফেসর ওমর ফারুক, কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মঈনুল ইসলাম মাহমুদ, আব্দুল মান্নান রানা, প্রফেসর ডা. জালাল উদ্দিন, প্রফেসর ডা. ওয়াজির আহমেদ, প্রফেসর এ এস এম মোস্তাক আহমদ, প্রমুখ।
পড়েছেনঃ ২৯