রাজনীতিতে এখন দিন দিন ক্রমশই উত্তাপ বাড়ছে রাজনৈতিকভাবে প্রায় ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি জামাত জোট নতুন করে আবার পুনরুজ্জীবিত হওয়ার চেষ্টা করছে। যে কোন মূল্যে সরকারকে ঘায়েল করতে দলীয় কর্মসূচিসহ সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বিএনপি। এ সুযোগে পর্দার আড়াল থেকে নামে বেনামে ইউটিউব, ফেসবুক নামসর্বোচ্চ পোর্টাল ও টিকটকের মাধ্যমে অপপ্রচারে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলো আওয়ামীলীগকে নাস্তানাবুদ করে ফেলছে।
এসব কৃত্রিম অপপ্রচারের জবাব সঠিকভাবে দিতে পারছেনা আওয়ামীলীগ। এদিকে
বিএনপি ও শরিক নেতারা সরকারে ব্যর্থতাকে যেমন তুলে ধরছেন, সেভাবে আওয়ামীলীগ নেতারা সরকারের ১৪ বছরের সাফল্যর মধ্যে দিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌছানো এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি, দুর্যোগ আর মহামারীর মত পরিবেশ সৃষ্টির মধ্যেও স্বাধীনতা পর দেশের যে ভূয়সী সাফল্য তা তুলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে।
স্বাধীনতার স্বপক্ষে ও আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের মাএা বেড়ে যাওয়াতে সাধারন মানুষের কাছে এই সমস্ত বিভ্রান্তিকর তথ্যগুলো অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য সত্য বলেপরিলক্ষিত হচ্ছে।এরপর এসব গুজব ফেসবু ইউটিউবে পরিকল্পিতিভাবে দেশ এবং দেশের বাহিরে বসে সাইবার সন্ত্রাসীরা জনগনের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধূম্রের ফ্ল্যাট ফর্ম ব্যবহার করে এ অপপ্রচার পৌঁছে দিচ্ছে।
অপপ্রচার সম্পর্কে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ আলম সুজন কে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করিলেন তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত-বিএনপির শরিক দলের আওয়ামী সরকারের উন্নয়নের কর্মযক্ষ চোখে পড়ে না এবং অপপ্রচারের মাধ্যমগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে। গুগোলে এদের আদিষ্ট লোক নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত কোন পোস্ট করলে তা লাইক কমেন্ট শেয়ার অনেক হয়। কিন্তু আমাদের দলীয় বা সরকারের কোন পোস্ট করলে তা লাইক কমেন্ট শেয়ার সংকীর্ণ হয়।
তাতে করে আমি এবং আমার সরকার বিব্রত নয়। জনগনের এর সত্যতা বিচার করবে।
অন্যদিকে ফেসবুক ইউটিউবে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামীলীগ নেই বললেই চলে।
সাইবার যুদ্ধে আওয়ামীলীগ প্রায় ধরাশায়ী হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে, প্রবীন ও সিনিয়র সাংবাদিক সূর্যোদয়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ ও প্রিয় পাঠক এর অ্যাডভাইজার এডিটর জনাব জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, সরকারের ফেইসবুক ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের সক্রিয়তা কম অন্যদিকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার হঠাও এবং সরকার বিরোধী অপপ্রচারে জোরালো ভূমিকা ও হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন মন্তব্য করেন।
এছাড়া কূটনৈতিক পাড়ায় বিএনপির তৎপরতা বেড়েছে।উন্নয়ন এবং সাফল্য প্রচারে আওয়ামীলীগের ব্যর্থতা স্পষ্ট।