৭ই জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ জাতীয় পার্টি। ২৮৩টি আসনে ভোটে অংশে নেবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক।
আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় দলের বনানীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের একটি দাবি ছিল সরকারের কাছে এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে যাতে একটি ভালো পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যাতে মানুষের আস্থা থাকে, তাহলেই জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে এবং নির্বাচনে থাকবে।এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের বিভিন্ন মহলের আশ্বাসে আমাদের মোটামুটি একটা আস্থা এসেছে যে, নির্বাচনটা তারা ভালো মতো করতে চায়। এ লক্ষ্যে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহয়তা করে যাচ্ছে এবং তারা আমাদেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে নির্বাচনটা যাতে ভালোভাবে হয়, সেজন্য যা যা সহযোগিতা লাগে তারা সেটা করবে। এ কারণে আমাদের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির সব নেতা-কর্মীকে অনুরোধ করছি, এই নির্বাচনে আমরা অংশ নেবো।
নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, আমরা আশাবাদী, এই নির্বাচনে মানুষ গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটে অংশ নেবে।
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে সব অপচেষ্টা দূর করে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করতে পারবো। এই লক্ষ্যে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি এবং আমাদের সব প্রার্থীকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে, আগামীকাল তারা যেন প্রতীক বরাদ্দ নেন, তাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা ২৮৩টি আসনে নির্বাচন করবো। তবে কিছু কিছু আসনে আমাদের কৌশল থাকতে পারে, সেটা আপনারা জানতে পারবেন।
আসন্ন ভোটে সংসদীয় আসন ভাগাভাগি নিয়ে একাধিকবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জাপার শীর্ষ নেতৃত্ব এ সভায় বসে।
ওই বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানান, জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট আসন থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন, তার দল জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের প্রার্থীদের ৩২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির জন্য ২৬টি আসনে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।