আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের ১৫১ জন মনোনয়ন জমাদেন এর মধ্যে আটটি আসনে যাচাই-বাছাই শেষে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।ঋণখেলাপি ও আয়কর সংক্রান্ত ঝামেলা ও এক শতাংশ মানুষের স্বাক্ষর গড়মিল থাকায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রোববার সন্ধ্যায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ তথ্য জানানো হয়।চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রাম-১, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসন ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) ও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই করা হয়।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম নওশের আলী, মো. শাহজাহান ও রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দীপ) আসনে জাকের পার্টির নিজাম উদ্দিন নাছির ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আমিন রসূল।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছির হায়দার চৌধুরী বাবুল ও মো. শাহজাহানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
চট্টগ্রাম ৬ (রাউজান) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চাঁন্দগাও) আসনে মনোনোয়ন যাচাই-বাছাই শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুছ ছালাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশাদুল আলম বাচ্চু, বিজয় কুমার চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মহিবুর রহমান বুলবুল ও একই দলের আরেক প্রার্থী মনজুর হোসেন বাদলেরও প্রার্থিতা বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
তবে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন বৈধতার জন্য আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।