মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে তরুণদের ভূমিকা রাখতে হবে  -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে তরুণদের ভূমিকা রাখতে হবে  বলেছেন -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আজ ২৩ জুলাই রাজশাহী  বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, যে জাতি ইতিহাস ভুলে যায় সে জাতি এগিয়ে যেতে পারেনা। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইতিহাস ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীত ধারার লোকজন ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবর্তে রাজাকার আলশআমসরা দেশ চালিয়েছে। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশে এগিয়ে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশ থেমে থাকেনি। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি মর্যাদার জায়গায় গেছে। বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদ নেই ।তারা সংকুচিত হয়ে গেছে। যখন মুক্তিযোদ্ধারা দাঁড়িয়ে সজাগ থাকে তখন অন্যরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে তরুণদের ভূমিকা রাখতে হবে। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হবে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থীরা। তারা একসময় বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজশাহীতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদ পুনর্মিলনী ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব‌ কথা বলেন ।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ফয়জার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, উপদেষ্টা প্রফেসর ডক্টর মোঃ সাইদুর রহমান খান, ভারপ্রাপ্ত উপ উপাচার্য আনন্দ কুমার ভৌমিক, ট্রাস্টি বোর্ডের মহাসচিব এ কে এম কামরুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক শামীম আহসান পারভেজ এবং চিফ আর্কিটেক্ট পেট্রিক ডি রোজারিও।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দিনবদলের সনদ বাস্তবায়নের ডাক দিয়েছিলেন। এর আগে শিক্ষা ব্যবস্থা যে তিমিরের ছিল সেখানেই রয়ে গেছে; যোগাযোগ ব্যবস্থা যে জায়গায় ছিল সেখানেই রয়ে গেছে। তরুণ সমাজের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হয় নাই। প্রধানমন্ত্রী দিন বদলের সনদের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। অনেকেই এর বিরোধিতা করেছে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। তিনি উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবধান গুচিয়ে দিয়েছেন। একটি বাটম টিপে সবকিছু পরিবর্তন করে দিয়েছেন। দিন বদলের সনদ বাস্তবায়ন করেছেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সংবিধানের বাহিরে কোন কিছু করার সুযোগ নেই।