শেখ হাসিনার উন্নয়ন সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে-
‘বিলোনিয়া স্থলবন্দরের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
ফেনী পরশুরামে ২১ মে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। শেখ হাসিনা আছেন বলেই পদ্মা সেতু, শেখ হাসিনা আছেন বলেই বঙ্গবন্ধু টানেল, শেখ হাসিনা আছেন বলেই ঢাকা চট্টগ্রাম ছয় লেনের রাস্তা, শেখ হাসিনা আছেন বলেই ফেনী-রামগড়, বিবিরবাজার-আখাউড়া চার লেনের রাস্তা, শেখ হাসিনা আছেন বলেই যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু, শেখ হাসিনা আছেন বলেই মাথা পিছু আয় ২৮০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যখন বিশ্বব্যাংক, বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান ও সম্ভাষণ জানায় নাগরিক হিসেবে আমরা আনন্দিত হই। দেশের ১৬ কোটি মানুষ সম্মানিত হই। বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও আমাদেরকে হিমালয়ের চূড়ায় নিয়ে গেছেন। যারা উন্নয়ন পছন্দ করেনা তারাই ২১আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা, সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা, জাতীয় নেতাদের বোমা মেরে হত্যা করে। বাংলাদেশ ব্যর্থ থাক; স্বাধীনতার সুখ না পায়-সেটা তারা চায়। সে ষড়যন্ত্র করছে। একজন লন্ডন থেকে আরেকজন দেশে থেকে ষড়যন্ত্র করছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় ‘বিলোনিয়া স্থলবন্দরের’ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, পরশুরাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রকিবুল হাসান এবং প্রকল্প পরিচালক ডিএম আতিকুর রহমান।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলাধীন এই বিলোনিয়া স্থলবন্দরটি সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩৮ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। ১০ একর জমিতে ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, একটি ওয়্যারহাউজ, ট্রান্সশিপমেন্ট শেডসহ একটি অফিস ভবন, একটি ডরমিটরী ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় বন্দরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্থাপন, টয়লেট কমপ্লেক্স ও আমদানি-রপ্তানিকৃত পণ্যের সঠিক পরিমাপের লক্ষ্যে ১০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ডিজিটাল ওয়েব্রীজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে সকল ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তবে বর্তমানে প্রধানত গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমুল, গাছগাছড়া, বীজ, গম, পাথর (স্টোনস এনড বোল্ডারস), কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পিয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে, কোয়ার্টজ ইত্যাদি আমদানী করা হয়ে থাকে। রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য ও শিশু খাদ্য ইত্যাদি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ২০০১ সালের ১৪ই জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। স্থলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় ২৪টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এসকল স্থলবন্দরের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৪টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন সম্পন্ন করে অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায় ‘বিলোনিয়া স্থলবন্দর’ একটি।
প্রতিমন্ত্রী পরে ‘বিলোনিয়া স্থলবন্দর’ এর উদ্বোধন করেন।






