২১ বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা যে গণহত্যাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল সেটিকে আবার সমগ্র বিশ্বে তুলে ধরতে হবে দিনাজপুরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
আজ ২৫ মার্চ দিনাজপুর
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে নিরীহ বাঙালির ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল; সে এক বিভীষিকাময় হত্যাকান্ড। বাংলাকে বিরাণভূমি বানাতে অসংখ্য গণহত্যা সংঘটিত করেছিল। কিন্তু তারা পারেনি নির্বিচারে গণহত্যার খবর শুনে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ বাংলাদেশকে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন। বীর বাঙালি বঙ্গবন্ধুর আহবাণে স্বাধীনতাকে ধরে রাখার জন্য দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত বড় গণহত্যা সেটি কিন্তু আমরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ২১ বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা যে গণহত্যাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল সেটিকে আবার সমগ্র বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। মানবতার বিরুদ্ধে এত বড় অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল-পৃথিবী যেন স্বীকৃতি দেয়; জাতিসংঘ যেন স্বীকৃতি দেয়।সেজন্য সকলকে আরো সোচ্চার হতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস’ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.আলতাফুজ্জামান মিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা পরষদ চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে নতুন প্রজন্ম সামনের দিকে পথ চলছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের বিচার করেছি ৭১এর অপরাধিদের বিচার করেছি। বঙ্গবন্ধুর করা স্বল্পোন্নত দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের গ্র্যাজুয়েশনের অপেক্ষায় আছি। উন্নত দেশের টার্গট নির্ধারণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছি। বাংলাদেশের অর্থনীতি সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশে কোন ড. ইউনুস তৈরি হবার সম্ভাবনা নাই। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দারিদ্রতাকে জয় করেছি। যে দারিদ্রতাকে বিক্রি করে ড. ইউনুসরা নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে এসেছে। এখন বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে। দারিদ্রতাকে নিয়ে নয়। বাংলাদেশ এখন সোনার বাংলা হয়েছে। সোনার বাংলা বিনির্মাণের মাধ্যমে গণহত্যার স্বীকার মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও বঙ্গবন্ধুর রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি।






