নিয়তির কি নির্মম পরিহাস!!!!
সরকারী আদেশে তুই এখনো ডিউটিতে (দুপুর ২ টা পর্যন্ত) অথচ সেই মহাপরাক্রমশালীর আদেশে তুই এখন পরপারের যাত্রী!!!
সামনের দিন গুলোতে রুহের জগৎ থেকে তোর সন্তান তোর কাছে আসার কথা ছিলো অথচ তুই নিজেই চলে গেলি সেই অদৃশ্য জগৎ।
কিবোর্ড চেপে কিছু লেখার ভাষা নাই। তোর মৃত্যুসংবাদে মধ্যরাতেও চট্টগ্রাম মেডিকেলে এতো এতো শুভাকাঙ্ক্ষীর উপস্থিতি এবং জানাযায় এতো মানুষের উপস্থিতিই বলে দেয় তোর ইহকালীন জীবন কতটা সুন্দর ছিলো। মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ তোর সকল ভুলত্রুটি ক্ষমা করে পরকালীন জীবনটাও যেনো সুন্দর করে দেয়। সেই সাথে তোর স্ত্রী, অনাগত সন্তান ও তোর শোকসন্তপ্ত পরিবারের উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক, আমিন।
প্রিয় সন্তানের মুখ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলেন মুজাহিদ। সন্তানের মুখ দেখার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মমভাবে প্রাণ হারাতে হলো তাকে। আমি জানি না তার স্ত্রীকে কী বলে সান্ত্বনা দেবো’-! গতকাল রাত পৌনে ১১টায় চট্টগ্রাম বন্দর টোল রোডে ডিউটি শেষ করে নিজের মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার পথে পিছন থেকে একটি প্রাইভেটকার জোরে ধাক্কা দিলে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ট্রাফিক সার্জেন্ট মুজাহিদ চৌধুরী। তার এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে সহকর্মী ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফ শাহরিয়ার বন্ধু ও সহকর্মী শূন্যতার ব্যথার অনুভুতিতে নিজের ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটি লিখেন।






