সিএমপি কোতোয়ালী থানার অভিযানে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দুর্ধর্ষ ছিনতাই চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজারস্থ বাকলিয়া এক্সেস রোডের হতে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজিসহ ছিনতাইকারী দলের সদস্য মিজানুর রহমান রানাকে ছিনতাইকৃত নগদ ২৫,০০০ টাকা এবং ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত টিপছোরা ও সিএনজি উদ্ধারসহ আটক করে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত অনুমান ৯.৩০ ঘটিকায় জনৈক মোঃ আক্তার হোছাইন বাকলিয়া থানাধীন চাক্তাই হতে মুদি দোকানের জন্য মালামাল ক্রয়ের নিমিত্তে নিউ মার্কেট মোড় থেকে অজ্ঞাতনামা ১টি সিএনজি যোগে ৮০ টাকায় ভাড়া করে চাকতাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন এবং রাত অনুমান ৯.৪৫ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন ফিরিঙ্গীবাজার মেরিনার্স রোডস্থ এস আলম বাস ডিপোর পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় পৌঁছামাত্র সিএনজি’র ড্রাইভার গাড়ি দাঁড় করানোর সাথে সাথে অজ্ঞাতনামা আরো ২ জন ব্যক্তি সিএনজির পিছনে দুইপাশ দিয়ে উঠে তাহার দুইপাশে পিছনের সিটে বসে। দুইপাশে পিছনের সিটে বসা অজ্ঞাতনামা ১ জন ব্যক্তি মোঃ আক্তার হোছাইন এর মুখ চেপে ধরে এবং অপর ১ জন ব্যক্তি একটি ছোরা দিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখায়। একপর্যায়ে আসামিরা জনৈক মোঃ আক্তার হোছাইন কে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মেরে তার হাতে থাকা ১টি Tecno মডেলের মোবাইল ফোন সেট ও তার পরিহিত পায়জামার পকেটে মুদি মাল ক্রয়ের জন্য রাখা নগদ ৬২,০০০ (বাষট্টি হাজার) টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে মোঃ আক্তার হোছাইন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উক্ত বিষয়ে অজ্ঞাতনামা ৩ জন ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করলে কোতোয়ালী থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
মামলার সূত্র ধরে, এসআই মোঃ মেহেদী হাসান তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও সোর্সের দেওয়া তথ্য এবং আশপাশের প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সঙ্গীয় অফিসারদের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা চালিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজারস্থ বাকলিয়া এক্সেস রোডের মুখ হতে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজিসহ ছিনতাইকারী দলের সদস্য মিজানুর রহমান রানাকে আটক করে এবং মিজানের দেহ তল্লাশি করে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি টিপ ছোরা এবং ছিনতাইকৃত টাকা থেকে নগদ ২৫০০০- টাকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করেন।
এবং সিএনজি তল্লাশি করে সিএনজির পিছন দিকের সিটের পিছনে খালি জায়গায় কাগজের প্যাকেটের ভিতর থেকে ১২৫ গ্রাম মরিচের গুড়াও উদ্ধার করা হয়। আটক মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞেসাবাদপ জানায় যে, তারা শহরের বিভিন্ন মোড়ে সিএনজি করে লোকাল যাত্রী তোলার নাম করে ঘুরে বেড়ায়। তারা পেছনের একটি সিটে যাত্রী তোলে, কিছু দূর যাবার পর একটু খালি জায়গা দেখলে সুযোগ বুঝে যাত্রীকে ছোরার ভয় দেখায় এবং চোখে মরিচ লাগিয়ে যাত্রীর সব কিছু ছিনতাই করে তাকে রাস্তায় ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়।






