চট্টগ্রাম নগরীতে অপহৃত শিশু হৃদয়কে উদ্ধার করেছে ইপিজেড থানা পুলিশ।

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন রেলবিট এলাকায়  সাইক্লোন শেল্টারের  পাশে পাকা রাস্তার উপর থেকে চাঞ্চল্যকর শিশু অপহরণ মামলার অভিযান চালিয়ে  অপহৃত  শিশু হৃদয় (৩) সহ  অপহরণ চক্রের ৬  সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ইপিজেড থানা পুলিশ।

৮ ফেব্রুয়ারী  সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) এবং অফিসার ইনচার্জ আবদুল করিমের নেতৃত্বে এসআই (নিঃ)রানা প্রতাপ বনিক সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পতেঙ্গা থানা এলাকা থেকে সুমী শীল প্রকাশ সুমী সরকার, মোছাম্মৎ লাকী বেগম প্রকাশ লাকী আক্তার প্রকাশ লাকী ও মোঃ আকিবকে গ্রেফতার করেন।

তথ্য  সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি   দুপুর অনুমান ১৩.০০ ঘটিকায় সময়  ইপিজেড থানাধীন রেলবিট সাইক্লোন শেল্টারের সামনে  রাস্তার উপর থেকে সুমী শীল  (সুমী সরকার) মোছাম্মৎ লাকী বেগম ( লাকী আক্তার)  ও মোঃ আকিব পরস্পর যোগসাজসে শিশু হৃদয়কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এবিষয়ে অপহৃত শিশুর পিতা জনাব রবিউল আউয়াল নগরীর ইপিজেড থানায় বাদী হয়ে একটি নিয়মিতমামলা রুজু করেন।

মামলা রুজু করার পর সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) এবং অফিসার ইনচার্জ আবদুল করিম  ইপিজেড থানার নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির আইসি ( এস আই (নিঃ)রানা প্রতাপ বণিক) ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল এলাকা পরিদর্শন ও আশপাশের দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে সুমী শীল প্রকাশ সুমী সরকার, মোছাম্মৎ লাকী বেগম প্রকাশ লাকী আক্তার প্রকাশ লাকী, মোঃ আকিবকে শনাক্ত করেন।

আটককৃত সুমী শীল প্রকাশ সুমী সরকার, মোছাম্মৎ লাকী বেগম প্রকাশ লাকী আক্তার প্রকাশ লাকী ও মোঃ আকিবকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরস্পর একত্রে ঘটনার তারিখ ও সময়ে ভিকটিম হৃদয়কে অপহরণ করার বিষয়টি স্বীকার করে এবং  তারা  শিশু হৃদয়কে  বেলাল হোসেন এর নিকট বিক্রয় করে দিয়েছে এবং বর্তমানে শিশুটি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানাধীন বেলাল হোসেন এর হেফাজতে আছে বলে জানায়।

উক্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একই তারিখ সঙ্গীয় ফোর্স, ধৃত ব্যক্তি এবং বাদি ও তার স্ত্রীকে নিয়ে ফেনী জেলার দাগনভূইঁয়া থানা এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এবং  দাগনভূঁইয়া থানা পুলিশের সহায়তায় বেলাল হোসেনকে তাহার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন এবং তাকে অপহৃত শিশুর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, অপহৃত শিশুটি হাবিবুর রহমান মজুমদার এর নিকট রয়েছে।

উক্ত প্রাপ্ত তথ্য ভিত্তিতে   অভিযান পরিচালনা করে হাবিবুর রহমান মজুমদারকে তাহার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন।

আটককৃত হাবিবুর রহমান মজুমদারকে অপহৃত হৃদয় এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, ভিকটিম হৃদয় রোজিনা আক্তার এর নিকট রয়েছে। তার দেওয়া তথ্য সূত্র ধরে  রোজিনা আক্তারকে তাহার নিজ বাড়ী থেকে   হেফাজত থেকে অপহৃত হৃদয়কে উদ্ধার করা সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা অপহরনকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে পুলিশ জানায়,  এ চক্রটির  বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রুজু আছে মর্মে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।