তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ নিখোঁজ ডায়েরি সূত্র ধরে তিন ঘন্টায় হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানাযায়, বিগত ২৩ শে জানুয়ারী সন্ধ্যা হতে ভিকটিম কামরুল ইসলাম(৩৫), পিতা-মোঃ আব্দুল জব্বার, সাং-যোগীগছ থানা-তেঁতুলিয়া, জেলা-পঞ্চগড় নিখোঁজ হলে ২৫ শে জানুয়ারী দুপুরে নিখোঁজের ছোট ভাই মোঃ কাবুল হাসান তেঁতুলিয়া থানায় হাজির হয়ে নিখোঁজ সংক্রান্তে সাধারণ ডায়েরী করেন যার সাধারণ ডায়েরী নং-৯৮৭, ডায়েরী করার তিন ঘন্টার ব্যবধানে তথ্যের ভিত্তিতে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশ দেবনগর ইউনিয়নের একটি চা বাগানের ড্রেন হতে ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া আলামত এর সূত্র ধরে পঞ্চগড় জেলার পুলিশ সুপার জনাব এস, এম, সিরাজুল হুদা, পিপিএম এর নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব কনক কুমার দাসের, এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ রাকিবুল ইসলামের সার্বিক সহযোগীতায় তেঁতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম তদন্ত শুরু করে। এবং গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে মোঃ দিদার আলী, পিতা-সরদার আলী, সাং-গরিয়াগছ, থানা-তেঁতুলিয়া, জেলা-পঞ্চগড় নামের একজন ব্যক্তিকে ২৬ জানুয়ারী আটক করে। পুলিশের কি করে দিচ্ছি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও রিমান্ডে থাকা অবস্থায় উক্ত দিদার স্বীকারোক্তি করে যে, , ভিকটিম কামরুল ইসলামের হত্যাকান্ডে সে সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও হত্যাকান্ডের সময় সে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা আগে থেকেই জানত। মোঃ দিদার আলীর দেয়া তথ্য যাচাই করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী মোঃ সাইফুল ইসলাম, পিতা-মোঃ আব্দুর রহমান ও নজিবুল হক, পিতা-সপিজদ্দীন, উভয়ের সাং-যোগীগছ থানা-তেঁতুলিয়া, জেলা-পঞ্চগড়দ্বয়কে গ্রেফতার করার লক্ষে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের কয়েকটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে এসআই আব্দুল লতিফ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ২৯ জানুয়ারী দিবাগত রাত অনুমান ৪.৩০ ঘটিকায় আসামী সাইফুল ইসলামকে ঠাকুরগাঁও জেলাধীন বালিয়াডাঙ্গী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাইফুলের স্বীকারোক্তি তথ্য অনুযায়ী তার আপন ভাতিজা ভিকটিম কামরুলের সাথে পূর্ব হতে জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে এক ধরনের প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা মাথায় আসে। এবং সে মোতাবেক গত ২৩ জানুয়ারী দিবাগত রাতে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অপর আসামী নজিবুল হক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব এস. এম. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ রাকিবুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ তেঁতুলিয়া মডেল থানা জনাব মোঃ আবু সাঈদ চৌধুরী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জনাব মোঃ আব্দুল লতিফ সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ। এ বিষয়ে আটক কৃতদের বিরুদ্ধে তেতুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা নং ১৭ রুজু করা হয়েছে।






