যুক্তরাষ্ট্রের ছোট বড় শহরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্তৃত্বাবাদী প্রবণতা ও লাগামছাড়া দুর্নীতির প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। ‘নো কিংস’ বা ‘রাজা মানি না’ নামের এই আন্দোলনে নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ছোট বড় বিভিন্ন শহর ও মফস্বলে এরকম দুই হাজার ৬০০ সমাবেশ হওয়ার কথা বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
জানুয়ারিতে ক্ষমতা নেওয়ার পর ট্রাম্পের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ যে গতিতে গণতান্ত্রিক চর্চাকে এফোঁড়-ওফোঁড় করছে এবং সরকারের আদল বদলে দিচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাতে এ কর্মসূচি ডাকা হয়েছে; যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এসব বিক্ষোভ সমাবেশে ২০ থেকে ৩০ লাখ বা তারও বেশি মানুষ যুক্ত হবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সব মিলিয়ে সমাবেশগুলোকে মনে হয়েছে উৎসবমুখর; বেশিরভাগ জায়গায় বাতাসে ফোলানো নানান খেলনা চরিত্র দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের অনেকের শরীরেও ছিল নানা ধরনের সাজপোশাক। বিক্ষোভে সব বয়সী সব বর্ণের মানুষের উপস্থিতিই সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। বাবা-মা’রা স্ট্রোলারে করে নিয়ে এসেছেন এখনও হাঁটতে না শেখা শিশুদের, তাদের পাশেই ছিলেন অবসরপ্রাপ্তরা, অনেকের সঙ্গে ছিল খাঁচায় রাখা পোষা প্রাণীও।
সব মিলিয়ে সমাবেশগুলোকে মনে হয়েছে উৎসবমুখর; বেশিরভাগ জায়গায় বাতাসে ফোলানো নানান খেলনা চরিত্র দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের অনেকের শরীরেও ছিল নানা ধরনের সাজপোশাক। বিক্ষোভে সব বয়সী সব বর্ণের মানুষের উপস্থিতিই সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। বাবা-মা’রা স্ট্রোলারে করে নিয়ে এসেছেন এখনও হাঁটতে না শেখা শিশুদের, তাদের পাশেই ছিলেন অবসরপ্রাপ্তরা, অনেকের সঙ্গে ছিল খাঁচায় রাখা পোষা প্রাণীও।
নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) জানায়, শহরে এক লাখেরও বেশি মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে অংশ নেন এবং কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। টাইমস স্কোয়ারের এক পুলিশ সদস্যের হিসাবে, অন্তত ২০ হাজার মানুষ সেভেন্থ অ্যাভিনিউতে মিছিল করেছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লেখক ও সম্পাদক বেথ জাসলফ বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের স্বৈরাচারী প্রবণতা আমাকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ করেছে। আমি নিউইয়র্ককে ভালোবাসি। এত মানুষের সঙ্গে এখানে থাকতে পেরে ভালো বোধ করছি।
বিবিসি বলছে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকেই নির্বাহী ক্ষমতা চর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি কংগ্রেস অনুমোদিত তহবিল আটকে দিয়েছেন, ফেডারেল প্রশাসনের বিভিন্ন অংশ ভেঙে দিয়েছেন, অন্য দেশের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছেন এবং গভর্নরদের আপত্তি সত্ত্বেও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন।






