নগরীর বন্দর কলশী দীঘি রোড়ে ভিটেক রিক্সায় পিষ্ট – বিএন এ স্কুলের শিক্ষার্থী মুমূর্ষ অবস্থায় পার্ক ভিউর আইসিইউতে ভর্তি।

সাধারণ শিক্ষার্থী , এলাকাবাসীসহ ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সমস্ত অবৈধ গাড়ি ও চাঁদাবাজি বন্ধে বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা অটো রিক্সা (ভিটেক) গাড়ি চাপায় মো: নাজাত নামের আট বছরের শিশু শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।

বুধবার (৩০জুলাই)বিকালে বন্দর থানাধীন কলসি দিঘি রোড ফেলা গাজী বাড়ি বাইতুর রিদওয়ান জামে মসজিদ সম্মুক্ষে বাড়ির পাশে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আহত মো: নাজাত  ওই এলাকার মরহুম  এনামুল হক সওদাগর  প্রকাশ রুজি হোটেলের  মালিকের  নাতি ও মো : মনুজ সওদাগরের ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, বিকালে নাজাত বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে খেলা করছিল। একপর্যায়ে বেপরোয়া গতিতে আসা  অটো রিক্সার দুই দুইবার  চাপায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়  নাজাত।
অবস্থায় প্রথমে তাকে নগরীর মাও শিশু হসপিটাল  এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পার্ক ভিউ হসপিটালে ভর্তি করা হয়। মাথায় অতিরক্ত রক্ত জমাট বাধাঁর কারণে পার্ক নিউ ডাক্তার  তাকে আইসিইউ তে পর্যবেক্ষণের জন্য রেখেছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।
এদিকে ঘটনার পরপরই অটোরিক্সা চালককে  শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী আটক করে রেখেছে বলে সুত্রে জানা যায়।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি উক্ত অটো রিক্সা ড্রাইভার  এলাকার একজন চিহ্নিত মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত

সে গাঁজা সেবন করে (মাদক আসক্ত)  অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি  ঘটিয়েছে।এদিকে এ ঘটনায় বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল থেকে পরিবারের লোক জন ও এলাকাবাসী কলসি দিঘি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এবং কলশীদীঘি রোডে  (ভিটেক) অটোরিক্সা, এইচ পাওয়ারসহ টমটম চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় এলাকার  শিক্ষার্থী ও উত্তেজিত  এলাকাবাসী কয়েকটি অটো রিক্সা ও টু এস্ট্রোক সিএনজি আটক করে রাখে।

 

পরে রিক্সার ব্যাটারি রেখে  ড্রাইভারকে যাঁর যাঁর  অটো রিক্সা বুঝায়  দিয়ে আগামীকাল দেখা করতে বলে।

পরিবারের পক্ষ থেকে মেজ চাচা মোহাম্মদ রফিক জানায়  আগামীকাল উক্ত  ড্রাইভার এর বিরুদ্ধে বন্দর থানায় অভিযোগ দাখিল করিব। এখন আমরা রোগী নিয়ে ব্যস্ত।

বিক্ষোভকারী ও উত্তেজিত এলাকাবাসী  অটোরিক্সা চালকের লোকজন চালক ও গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে আসলে তাদের  পিছু দাওয়া করে।

এলাকার যুব সমাজের পক্ষে অভি জানায়, কলশী দীঘি রোডে আনন্দবাজার টু ফ্রিপোর্ট মোড় পর্যন্ত মাত্রা অতিরিক্ত ভিটেক রিক্সা, টমটম, এইচ পাওয়ার বেড়ে গেছে। ড্রাইভাররা বেপরোয়া  গতিতে গাড়ি চালাই। প্রতিদিন চার পাঁচটি অ্যাক্সিডেন্টের ঘটনা আছেই।এই রোডের পাশে  রয়েছে অসংখ্য মাদ্রাসা, প্রাইমারী স্কুল, মসজিদ সহ নানান প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশুরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে  আসা-যাওয়ায় জান মালের নিরাপত্তাহীনতায় তাকে। তাই আমরা এলাকার বাসিন্দারা  এই রোডে মাত্রা অতিরিক্ত গাড়ি ও লাগামহীন  চলতে দেব না।

সচেতন নাগরিক ইবলাছ গাজী বলেন, এই রোডে কিছু নামধারী তথাকথিত নেতা কৌশলে লাইন ম্যান দিয়ে  গাড়ি প্রতি ২০ টাকা ৩০ টাকা চাঁদা আদায় করে।

কলশীদীঘি রোডের এক কাপড়  ব্যাবসায়ি মো: গফুর জানায়, এ সমস্ত অবৈধ গাড়ির কারণে  আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। দোকানের সামনে কাস্টমার আসতে পারে  না।আমরা এ রোডের ব্যবসায়ীরা লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে ঠিক মত ব্যবসা করতে পারছি না দেউলিয়া হবার পথে। তাই আমরা ব্যবসায়ীরা চাই  এ সমস্ত অবৈধ গাড়িগুলো  আইনের আওতায় এনে  নির্দিষ্ট পরিমাণ  গাড়ি চলাচল করুক।

ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি একটু শান্ত হয় । এবং এলাকাবাসী অটো রিক্সার ড্রাইভারকে থানায় সোপর্দ করেছে বলে জানা যায়।