নিত্যপণ্য আমদানির ফলে সিন্ডিকেট ভেঙে পড়েছে – কমেছে আলু, পেঁয়াজের ও তরকারির দাম

সরকার নিত্যপূণ্য আমদানির কারণে প্রায় ছয়শ মত সিন্ডিকেট ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা।

দেশের কৃত্রিম বাজার নিয়ন্ত্রণে ও নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে দ্রুত ভারতের সঙ্গে কোটা চুক্তি বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী  ও অভিজ্ঞ বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা বলেন  দেশের বাজারে প্রায়ই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের দাম বৃদ্ধি করে বিপাকে ফেলেন নিম্নআয়ের মানুষদের। দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে আইনি ব্যবস্থা নিয়েও সিন্ডিকেট থামানো যায়নি। এতে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সরকারকে। তবে যখনই অযৌক্তিক দাম বাড়িয়েছে তখন দেখা গেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বাধ্য হয়ে এসব পণ্যের আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  প্রায় ৬ শ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর কারণে বাজারে নিত্য পণ্যের দাম উঠানামা করে। তা বর্তমান সরকার নিত্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি শুরু করলে  এতে সিন্ডিকেট ভেঙে পড়ায় বাজার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

গত তিন মাস সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল নিত্যপণ্যের দাম। নানান কারণ দেখিয়ে অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা  দেশের বাজারে ডিম ৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা, পেঁয়াজ ২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ৯০ টাকা ও আলু ২৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে রেকর্ড সৃষ্টি করে। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার বাধ্য হয়ে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে ভারত থেকে ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আমদানি হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে আগামীতে বাজার নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বন্দর পতেঙ্গায় সালাউদ্দিন  নামে একজন সাধারণ ক্রেতা বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দামে এখনও আগুন। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে তবে ভারত থেকে আমদানির কারণে কিছুটা কম দামে কিনতে পারছি। বেনাপোল বাজারের ডিম বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, ভারত থেকে ডিম আমদানিতে দাম কমতে শুরু করেছে। পিয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাক, প্রতি পিস ২ টাকা পর্যন্ত কমে বড় সাইজের ডিম ১১ টাকা ও ছোট ডিম ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া কমেছে কাঁচা তরিতরকারি দাম।