বহু প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন শেষে জনসমুদ্রে – বঙ্গবন্ধুকন্যা

বহু প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন শেষে  আনোয়ারা কোরিয়া ইপিজেড মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত  বিশাল জন সমুদ্রের শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন দজ্জ্যার তলদি চলে গাড়ি সুতরাং  আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী। এই বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না, এটা হলো বাস্তবতা। দুপুরে আনোয়ার জনসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরও  বলেন, এখানে চট্টগ্রাম বন্দর। বারবার সিলটেশন হয়। যত ব্রিজ করব তত সিলটেশন হয়। তাই সিদ্ধান্ত হয় টানেল করে দেব। চীনের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শি জিন পিংকে ধন্যবাদ জানাই। চীন সফরে গিয়ে উনাকে এই টানেলের কথা বলেছিলাম। আজ উদ্বোধন করেছি। এখন আর ঝড় বৃষ্টির অপেক্ষা করতে হবে না। নদীর তলদেশ দিয়ে এত বড় টানেল ধরে চলে যেতে পারবেন। এখান থেকে কক্সবাজার যেতে অনেক সময় লাগত। এখন আর বেশি সময় লাগবে না। ঢাকা থেকেও সরাসরি যাওয়া যাবে। এশিয়ান হাইওয়ের সাথে আমরা যুক্ত হবো। এই টানেল ভূমিকা রাখবে। যারা সংশ্লিষ্ট আর যারা দিন-রাত শ্রম দিয়েছেন সেই শ্রমিকসহ সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।চট্টগ্রামের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছি। চায়না ইকোনমিক জোন হবে গহিরায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক প্রশস্তকরণ, মেট্রোরেল নির্মাণের সমীক্ষা চলছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করছি। চাক্তাই কালুরঘাট মেরিন ড্রাইভের কাজ চলছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ২৫০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ করে দেব। বে-টার্মিনাল করা হচ্ছে। মাতারবাড়িতে ডিপ সি-পোর্ট হচ্ছে। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছি। একাধিক পানি শোধনাগার করেছি। স্যুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়েছে। দ্বিতীয় রিফাইনারির কাজ চলছে। মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। ৩৫টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার পার্ক, মিনি সেক্রেটারিয়েট করছি। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন হবে। রাঙামাটি পর্যন্ত রেল লাইন করার চিন্তা আছে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ও  দক্ষিণ জেলা  আওয়ামী লীগের  সর্বস্তরের  নেতাকর্মীসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।